Book Details:
ISBN: 978-81-19574-89-6
Writer/Editor: সাংসদ হত্যা রহস্য
Release Year: 2024
Edition: FIRST EDITION
Format: HEARDBOARD BINDING
এটি কোন রহস্য বা গোয়েন্দা গল্পের বই নয়। বাস্তবের মাটিতে ঘটে যাওয়া একটি ‘থ্রিলার’। যে ঘটনা হার মানায় যে কোনও কাল্পনিক ‘ওয়েব সিরিজকে’। এম.পি.-কে যেভাবে খুন করা হলো এবং পুরো দেহটি যেভাবে লোপাট করে দেওয়া হলো ট্রলি ব্যাগে করে তা একেবারে সত্যিই ‘সেলুলয়েডের দৃশ্য’। জল দিয়ে ধুয়ে খুনের সমস্ত তথ্য প্রমাণ মুছে ফেলা হলো নিমেষেই। খুনের পর সমস্ত খুনিরা পালিয়ে গেল সেই এলাকা থেকে। খুনের মধ্যে এত নিশংসতা, ভয়াবহতা ও বীভৎসতা খুব কম ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। এই ঘটনার মধ্যে জড়িয়ে যায় ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নাম। খুনের প্রমাণ হিসেবে মিলেছে পোকায় খাওয়া কয়েক টুকরো হাড় আর বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের পচা মাংসের টুকরো। ডি.এন.এ. পরীক্ষা প্রমাণ করবে সেই হাড়-মাংস নিহত এম.পি. আনেয়ারুল আজিম আনারের কিনা। ভারতবর্ষের মাটিতে এ যাবৎ কালের ‘হাই প্রোফাইল’ খুনের ঘটনার মধ্যে অন্যতম একটি হল এই নারকীয় হত্যাকান্ড। যে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন একাধিক চোরাকারবারি, রাজনৈতিক উচ্চ পদে থাকা নেতা কর্মী সহ আরও অনেকে। বাদ পড়েনি সুন্দরী নারী থেকে সিনেমার নায়িকারাও। সব মিলিয়ে রোমহর্ষক কাহিনী আর টানটান উত্তেজনা প্রতিটা ঘটনার মধ্যে।
- 'খুনের' পরেও 'জীবিত' এম.পি-র মেয়ে চাইলো খুনের প্রমাণ।
- ভিক্টিম ও খুনিরা বাংলাদেশের, খুন ভারতে, পরিকল্পনাকারী আমেরিকার।
- খুনের জন্য সাত কোটি টাকার সুপারি, দুই’শ কোটি টাকার সোনা আর এম.পি-র টিকিট নিয়ে দ্বন্দ্ব।
- কতটা আক্রোশে লাশ শতাধিক টুকরো, ড্রোন উড়িয়ে, সেনাবাহিনী নামিয়ে দেহের তল্লাশি।
- ফরেনসিক আর ডি.এন.এ টেস্টের ফলাফলের উপর নজর গোয়েন্দাদের, কন্যাকে খুনের হুমকি।
- চার বারের চেষ্টাতে খুন এম.পি, ইন্টারপোলের সাহায্য।
- বাল্য বন্ধুই মূল খুনের পরিকল্পনাকারী।
- এম.পি. খুনের পর ফেঁসে গেছেন একের পর এক প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঙ্গীরা।
- আন্তর্জাতিক স্বর্ণ , মাদক ও ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী।
- ভারতের সি. আই. ডি.-র তরফে ১২০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা আদালতে
দেবব্রত মন্ডল, জন্ম ১৯৮২ সালে। সুন্দরবনের গোসাবা থানার কুমিরমারী গ্রামে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে আসা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এ। উচ্চশিক্ষার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া। সেখান থেকেই ২০০৩ সালে গ্রাজুয়েশন, ২০০৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এম.এ. পাস। ২০০৬ সালে সাংবাদিকতা ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে পুনরায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এম.ফিল-র ডিগ্রি লাভ করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা শেষ করার আগেই সাংবাদিকতায় প্রবেশ। প্রথম সাংবাদিকতার হাতে খড়ি কলকাতা টিভির রিপোর্টার হিসেবে। তারপর আর প্লাস টিভিতেও দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখকের একাধিক নিবন্ধ ছাপা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। যার মধ্যে বেশ কিছু লেখা একই সাথে প্রকাশিত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশে । তবে তদন্ত মূলক সাংবাদিকতায় বই প্রকাশ এই প্রথম। একেবারে অন্য আঙ্গিকে, অন্য ধরনের লেখা যা তুলে ধরা হলো পাঠকদের কাছে ।